Journey of CPVP Praktoni

“চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী” গঠন এবং কিছু কথাঃ

২০০৫ সালের মার্চ মাসের কোন এক সন্ধ্যায় চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ’এ অধ্যয়নকালীন স্মৃতী নিয়ে আলাপ করছিলেন দুই বন্ধু, ফজলুল হক রোকন ও মিজানুর রহমান লিটন। আলাপচারিতার মধ্যেই রোকন সাহেব বললেন “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে একটা সংগঠন করলে কেমন হয়? লিটন সাহেব একমত হলেন, যোগাযোগ শুরু হলো, প্রথমে ইম্পিরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মরহুম মাহফুজুল হক শাহিনের সাথে, তিনিও একমত হলেন নাম ঠিক হলো “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী”। 

যোগাযোগ করা হলো অগ্রজ প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ, কৃষিবিদ আমিরুল ইসলাম শেলী, প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম বনা, আজিজুর রহমান শরীফ নিলু, প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, সামছুল হক খোকন, জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক আব্দুল মোত্তালিব, ফরিদা ইয়াসমিন , মাহফুজুল ইসলাম রঞ্জু, জাফর সাজ্জাদ খিচ্চু, তারপর বন্ধু বা সমবয়সি কাজী আফসার আলী মনু, মরহুম জাহিদুল ্আলম লালু, ফয়সাল আহমেদ খান জারাক,  এরপর অনুজ শামিম মাজহার, মাহবুবুল হক বকুল, রেজাউর রহমান সেলিম, রবিউল আলম বুদু, মরহুম আকরাম আলী খান সঞ্জু প্রমুখ। এছাড়াও পাকশী ও রাজশাহীতে অনেকের সাথে যোগাযোগ করা হয়। 

এভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে ইম্পেরিয়াল কলেজে একটি সভা হয়, ঐ সভায় মোঃ ফজলুল হক রোকনকে আহবায়ক এবং মাহফুজুল হক শাহিনকে সদস্য সচিব করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়, ঐ কমিটিতে মিজানুর রহমান লিটনকে অর্থ বিষয়ক দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিতে বেশ কিছু সদস্য রাখা হয়, প্রবীনরা ছিলেন  উপদেষ্টা। 

আহবায়ক কমিটির আহŸানে ২০০৫ সালের নভেম্বরে ঢাকায় নীলক্ষেতের পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমির হলরুমে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী”র প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। ঐ অনুষ্ঠানে মো: ফজলুল হক রোকনকে সভাপতি ও মাহফুজুল হক শাহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনীর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়।

২০০৭ সালে মার্চ মাসে পাকশীতে স্কুল প্রাঙ্গণে প্রাক্তন ছাত্রদের দিত্বীয় পূনর্মিলনী হয়, তারপর আবার ঢাকাতে ২০১০ সালে নীলক্ষেতের পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমির হলরুমে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী”র তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে পুনরায় মোঃ ফজলুল হক রোকনকে সভাপতি ও মাহফুজুল হক শাহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৩ সালে মাহফুজুল হক শাহিন সাহেবের হঠাৎ অকাল মৃত্যুর কারণে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী” একটি বড় ধরণের হোচট খায়, তারপরেও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর প্রাক্তন ছাত্র শিক্ষক যাঁরা আমাদের মাঝে নেই তাঁদেরকে স্মরণ করে ঢাকাতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৬ সালে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী” ঢাকায় সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে চতুর্থ পুনুর্মিলনী করে।

২০১৭ চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ এর প্রাক্তন ছাত্র, চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ এর সাবেক প্রধান শিক্ষক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পÐিত ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ হবিবুল্লাহর স্যারের মৃত্যু হয়, এই গুণিজনের স্মরণে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী” ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে একটি স্মরণসভা করে। 

২০১৯ সালে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী যোগিনচন্দ্র দাশ গুপ্তের দুই নাতনি শ্রীমতি অলকা নিয়োগী ও যশোধরা গুপ্তা ভারতের দেরাদুন ও দিল্লী থেকে ঢাকা আসেন, “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী” ঢাকাতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সংর্বধনা প্রদান করে, পাকশীতেও শ্রীমতি অলকা নিয়োগীকে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী”র নতুন কমিটি গঠন করা হয়, নতুন কমিটিতে অধ্যাপক ড. মো: মোত্তালিব হোসেনকে সভাপতি ও আশরাফ আলী খান মঞ্জুকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়।

করোনাকালিন সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: মোত্তালিব হোসেন ইহলোক ত্যাগ করেন। 

২০২৩ সালের রমজান মাসে কমিটির প্রথম সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা রবি এবং সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান মঞ্জুর উদ্যোগে ঢাকার গুলশানে অল কমিউনিটি ক্লাবে একটি ইফতার পার্টি আয়োজন করা হয়।

চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ এর প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ২০২৩ সালের মে মাসের ২৭ তারিখে পাকশীর হাসেম আলী মিলনায়তনে একটি মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

২০২৩ সালে সংগঠন হিসাবে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তনী”র গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয় ১২-০৮-২৩ তারিখে নির্বাহী পরিষদের সভায় মৌখিকভাবে অনুমোদিত হয়।

চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ এর শত বর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে ৩০-০৯-২৩ তারিখে চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী‘র একটি সভা পাকশী হাসেম আলী মিলনায়তনে গোলাম মোস্তফা রবির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান মঞ্জু‘র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেষ্ঠ প্রাক্তনী ও অনুজদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  


ফজলুল হক রোকন সাহেবের বিবরণ: অনুলিখন- শামীম মাজহার।