Constitution

সংঘ স্মারক

বাংলাদেশের পশ্চিমাাঞ্চলীয় জেলা পাবনার ঈশ^রদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন এর পাকশীতে প্রতিষ্ঠিত একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ”। ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে শিক্ষা প্রদান করে চলেছে। যে স্কুলের অনেক ছাত্র বৃটিশ আমল থেকে আজ অবধি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃতীত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে।

পাকশীতে রেলওয়ে বিভগীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবার ফলে বৃটিশ আমল থেকে ইংরেজ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পাক ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসীগন রেলওয়েতে চাকুরীর কারণে পাকশীতে বসবাস করেন। ফলে পাকশীর স্থানীয় ছাত্র ছাড়াও পিতার চাকুরীর কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের ছাত্রগন “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এ অধ্যয়ণ করতো। আজো পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় শহর, এখনো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছাত্রগন “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এ অধ্যয়ন করে। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিজস্ব স্কুল হিসাবে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ”কে আত্মীকরণের মাধ্যমে স্কুলের নাম হয় “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ রেলওয়ে স্কুল”।

১৯২৪ সালে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” প্রতিষ্ঠার পর আজ পর্যন্ত স্কুল হতে প্রায় আঠারো হাজার থেকে বিশ হাজার ছাত্র ম্যাট্রিক বা এসএসসি পাশ করেছে যাদের অনেকেই উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জীবিকা নির্বাহে চাকুরী, পেশাজিবী বা ব্যবসা করছে। যার একটি বৃহৎ অংশ ঢাকা কেন্দ্রিক।

২০০৫ সালে ঢাকায় বসবাসরত “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর কযেকজন সমমনা প্রাক্তণ ছাত্র একত্রিত হয়ে আলাপ আলোচনা করে যে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর পুরোনো ছাত্রদের মাঝে মধ্যে একত্রিত করণে একটি সংগঠন দরকার। সিদ্ধান্ত হলো প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠনের নাম হবে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”। “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর সকল প্রাক্তন ছাত্র “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সদস্য হিসাবে গণ্য হবে। মাঝে মধ্যে পুনর্মিলণী করা, কেউ মারা গেলে স্মরণ সভা করা অথবা রমজান মাসে একত্রে ইফতার এর মধ্যে দিয়ে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র কার্যক্রম চলছিল। দিনে দিনে সদস্য বৃদ্ধি পওয়ার ফলে সাংগঠনিক নিয়মানুবর্তিতা অপরিহার্য্য হয়ে পরেছে। তাই সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধিনে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।


গঠনতন্ত্র

ধারা-১ ঃ- সংগঠণের নাম:- সারা বাংলাদেশে বসবাসরত “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ”এর সকল প্রাক্তণ ছাত্র যেহেতু প্রস্তাবিত সংগঠনের সদস্য তাই সংগঠনটির নাম “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”। এই সংবিধানের বিভিন্ন ধারা, উপধারা, অনুচ্ছেদ, সংগঠণের বিভিন্ন কাগজ-পত্র, চিঠি-পত্র এবং কর্মকান্ডে এই নাম ব্যবহৃত হবে। ইংরেজী নাম ইংরেজী বানান রীতি অনুসারে লিখিত হবে- “ঈঐঅঘউজঅ চজঅঠঅ ঠওউণঅ চওঞঐঅ চজঅকঞঙঘও” যার উচ্চারণ হবে বাংলা উচ্চারণের অনুরুপ।

মনোগ্রাম :- সংগঠণের একটি মনোগ্রাম থাকবে যা এর সামগ্রিক উদ্দেশ্য ও আদর্শভিত্তিক কর্মকান্ডের প্রতীক হবে। মনোগ্রামটি সংস্থার লেটারহেডপ্যাড, মেমো, ভাউচার, নামফলক, ব্যানার এবং আনুসঙ্গিক সকল ক্ষেত্রে দ্বিমাত্রিক চিহ্ন হিসাবে ব্যবহৃত হবে।

ধারা-২ :- প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা :- সংগঠণের কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরীর যে কোন স্থানে সংগঠনের একটি কার্যালয় থাকবে। এই কার্যালয় প্রাথমিকভাবে ভাড়ার ভিত্তিতে হবে, প্রতিষ্ঠান যদি কখনো সক্ষমতা অর্জন করে তাহলে নিজস্ব ঠিকানায় স্থানান্তরিত হবে। প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অস্থায়ী ঠিকানা :- ৬৭/৩(২য় তলা), পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইল, রমনা, ঢাকা-১০০০।

ধারা-৩ : প্রতিষ্ঠার তারিখ :- মার্চ ২০০৫ সাল

ধারা-৪ : প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের আওতাভুক্ত এলাকা :- রাজধানী ঢাকা, স্কুল সংলগ্ন আশেপাশের এলাকা এবং রাজশাহী শহর, কারণ এই তিন জায়গায় স্কুলের প্রাক্তণ ছাত্রগন বেশী বাস করেন। স্কুল সংলগ্ন এলাকা তথা পাকশীতে এবং রাজশাহী শহরে দুটি আলাদা শাখা কমিটি থাকবে যা “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র স্থানীয় সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হবে। পরবর্তীতে কার্যকরী পষিদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং নিবন্ধীকরণ কতৃপক্ষের অনমোদনক্রমে দেশের যেকোন স্থানে কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।

ধারা-৫ : প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :- চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ এর সকল প্রাক্তণ ছাত্রদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যময় অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করা, নিসঙ্গতা দুরিকরণ, অসাহয়ত্ব বিমোচন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ উন্নয়ন, পারিবারিক বা সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে সহায়ক পারস্পরিক ভুমিকা নিবিড়তর করা, চাকরী, ব্যবসা-বাণিজ্য বা অনুরুপ আত্মকর্মসংস্থানমুলক কর্মকান্ডের উদ্যোগ নেয়া এবং স্কুলে বর্তমানে অধ্যয়নরত কৃতী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান, প্রাক্তণীদের কৃতী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান, তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা সংক্রান্ত বিষয় এবং সামগ্রিকভাবে মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে পরিচালিত সম্পুর্ণ অরাজনৈতিক সেবামুলক প্রতিষ্ঠান। এটি সম্পুর্ণভাবে অলাভজনক সমাজ সেবামুলক সংগঠন হিসাবে পরিচালিত হবে। অবস্থা বিশেষে স্কুলের পাঠদানের পদ্ধতি গবেষনালবদ্ধ পদ্ধতিতে করানোর জন্য কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা হবে। স্কুলের সকল প্রকার সংস্কারকার্যে রেলওয়ে কতৃপক্ষ ও অন্যদের পাশাপাশি ভুমিকা পালন, দিক নির্দেশনা প্রদান ও সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা এই সংস্থার অন্যতম লক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হবে। এছাড়াও এক বা একাধিক বিষয়ে সমন্বীত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজ কল্যানমুলক এবং মানবহিতৈষীকর কাজ করাই এই সংগঠনের উদ্দেশ্য।

ধারা-৫ : উপধারা- ক :- শিশু কল্যাণ :- আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুদের সুস্থভাবে গড়ে তোলা, তাদের সুশিক্ষার পথ সুগম করা এবং উৎকর্ষতা সাধনের ব্যপারে এই সংগঠন বিশেষ ভাবে গুরুত্বারোপ করছে। প্রাক্তণীদের পোষ্য ও স্কুলের মেধাবী ছাত্রগনকে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা।

ধারা-৫ : উপধারা- খ :- যুব কল্যাণ:- একটি উন্নত জাতি গঠনের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো সেই জাতির সুস্থ্য, সুশিক্ষিত, আদর্শবান, দক্ষ এবং কর্মঠ যুবশক্তি। আমাদের আথর্-সামাজিক অবস্থা যুব সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ, শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে যুবকরা বেকার, তাই যুব সমাজ নানাভাবে বিভ্রান্ত ও হতাশা গ্রস্ত। বেকারত্ব ও হতাশা দুরিকরণে প্রাক্তণী বিশেষভাবে কাজ করবে।

ধারা-৫ : উপধারা- গ :- নারী কল্যাণ:- মানব সভ্যতায় মধ্যযুগে নারী এবং পুরুষ দুটি আলাদা সত্বা ছিল। উনবিংশ শতাব্দীর শেষেরদিক থেকে শুরু নারী আন্দোলনের মাধ্যমে আজ ্একবিংশ শতাব্দীতে তার পরিণতী পেয়েছে। আজকের সমাজে জেন্ডার অনুযায়ি মানব মানবী বলা ছাড়া নারী এবং পুরুষকে আলাদা করে দেখার সুযোগ কম। এর পরেও বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে নারীরা বৈষম্যের ও অবহেলার শিকার। নারীর এই বৈষম্য দুরিকরণে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী” কাজ করছে এবং করবে।

ধারা-৫ : উপধারা- ঘ :- প্রতিবন্ধী কল্যাণ:- বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, বাক প্রতিবন্ধী, শারিরীক প্রতিবন্ধী ইত্যাদি প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিগন অত্যন্ত অসহায়। এদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস গ্রহণ করা, যাদের চিকিৎসা করলে প্রতিবন্ধীতা থেকে মুক্ত হবে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী” করবে।

ধারা-৫ : উপধারা- ঙ :- চিত্তবিনোদন কর্মসুচী:- সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী করতে হলে সংস্কৃতী চর্চার বিকল্প নেই। সাংস্কৃতীক অনুষ্ঠান মানুষকে বিনোদিত করে, মানুষের চিত্ত বিকশিত হয় একে অপরের পরিচিতি দৃঢ়তা পায় তাই নিয়মিত ভাবে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী” সংগীত, নাটক, নৃত্যানুষ্ঠান, বনভোজন ও পুনর্মিলণীর আয়োজন করবে।

ধারা-৫ : উপধারা- চ :- নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা:- দেশমাতৃকাকে ভালোবাসা একজন সুনাগরিক এর কর্তব্য ও দায়িত্ব। স্বাধীনতা সংগ্রামে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর প্রাক্তন এবং অধ্যয়নরত প্রায় ২৫০ জন ছাত্র সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে। তাই “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সকল সদস্য নাগরিক দায়িত্ববোধে সচেতন এবং অন্যকে সচেতন করার জন্য সর্বদাই সচেষ্ট।

ধারা-৫ : উপধারা- ছ :- সাহিত্য:- প্রযুক্তির বিবর্তন ও উৎকর্ষতায় আজ মানুষের পাঠাভ্যাস কমতে শুরু করেছে তবুও সাহিত্য চর্চা চলছে চলবে। বই পড়ার অভ্যাস ব্যাক্তিগত বিনোদনের শ্রেষ্ঠ উপায়। কথা বলার উপযুক্ত সাথী না পেলে বই আপনার সাথী হবে, আপনার সঙ্গে কথা বলবে তাই “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী” বই পড়া, সাহিত্য চর্চা করা এবং চিত্রকলায় নিবেদিত যারা তাদেরকে সর্বদাই উৎসাহ দেয়। কোলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর ছাত্র ছিলেন এবং উনি “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

ধারা-৫ : উপধারা- জ :- বণ্যার্ত ও শীতার্ত দের সাহায্য করা:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সদস্যদের প্রদেয় চাঁদা থেকে প্রয়োজনে বণ্যার্ত ও শীতার্তদের সাহায্য সহযোগিতা করবে।

ধারা-৫ : উপধারা- ঝ :- আইনি সহায়তা প্রদান:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র অনেক সদস্য আইন পেশার সাথে জড়িত। সমাজে যারা নির্যাতিত, নিগৃহীত কিন্তু অসহায়ত্বের কারণে আইনি প্রতিকার গ্রহনে অক্ষম তাদের আইনি সহায়তা প্রদানে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী” দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ধারা-৬ : উপধারা- ক :- সদস্য হওয়ার যোগ্যতা:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সদস্য হতে হলে অবশ্যই তাকে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর প্রাক্তণ ছাত্র হতে হবে। স্কুলে যেকোনো ক্লাসে স্বল্প কালীন অধ্যয়ন করলেও সে সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে। বাংলাদেশ সহ বিশে^র যেকোনো দেশের যেকোন স্থানে বসবাসরত “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর প্রাক্তন ছাত্র “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সদস্য হতে পারবেন। সদস্য হওয়ার জন্য বয়সের কোন সিমাবদ্ধতা নেই। তবে তাকে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র ঘোষিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর প্রতি নীতিগতভাবে একমত হতে হবে। অসামাজিক, আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী, কুখ্যাত, দেশদ্রোহী, স্বাধীনতা বিরোধী, সন্ত্রাসী দলের সদস্য, নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মী বা এজেন্ট অথবা অনুরুপ লোকজন অত্র সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

ধারা-৬ : উপধারা- খ :- সদস্যদের শ্রেণী বিভাগ:- সদস্যদের সামাজিক মর্যাদা, সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষ অবদান, অত্র সংগঠনে প্রদত্ত অনুদান প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সদস্যগন ৬ (ছয়) শ্রেণীতে বিভক্ত হবেন।

ধারা-৬ : উপধারা- খ :- অনুচ্ছেদ -১. প্রতিষ্ঠাতা সদস্য:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র প্রতিষ্ঠালগ্নে যেসব ব্যক্তিবর্গ নিরলস পরিশ্রম, মেধা ও দক্ষতা দিয়ে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”কে গড়ে তুলেছেন, তার স্বীকৃতিস্বরুপ কার্যকরী পরিষদের মনোনয়নক্রমে তাঁদেরকে সংগঠণের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যপদ দান করা যাবে।

ধারা-৬ : উপধারা- খ :- অনুচ্ছেদ -২. পৃষ্ঠপোষক সদস্য:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র কার্যকরী পরিষদ, প্রাক্তণী সদস্যদের মধ্য থেকে প্রখ্যাত জ্ঞাণী, গুণী, সমাজসেবী, দানবীর বা অন্যকোন বিশেষ গুনের অধিকারী অনূন্য ৫ (পাঁচ) জনকে পৃষ্ঠপোষক সদস্য হিসেবে মনোনীত করবে। উনাদের মধ্য থেকে যোগ্যতম একজনকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হবে। 

ধারা-৬ : উপধারা- খ :- অনুচ্ছেদ -৩. সাধারণ সদস্য:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র আদর্শ ও উদ্দেশ্যে বিশ^াসী এবং এই গঠনতন্ত্রের ধারা-৬ এর উপধারা-ক এ বর্ণিত সদস্য হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ ১০০.০০(এক শত) টাকা ভর্তি ফি ও ১০০.০০(একশত) টাকা মাসিক চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন ক্রমে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সাধারণ সদস্য হতে পারবেন। সাধারণ সদস্যগণ “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র নিয়মানুযায়ী প্রাপ্ত সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

ধারা-৬ : উপধারা- খ :- অনুচ্ছেদ -৪. দাতা সদস্য:- যেকোনো প্রাক্তণী যদি “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র অনুকুলে এককালীন ১০,০০০.০০ (দশ) হাজার বা তার চেয়েও বেশী টাকা অথবা সমপরিমান মূল্যের সম্পদ প্রদান করেন তবে ওই সদস্যকে কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে দাতা সদস্য হিসেবে গ্রহন করা যাবে।

ধারা-৬ : উপধারা- খ :- অনুচ্ছেদ -৫. বৈদেশিক সদস্য:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর ছাত্র কিন্তু বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন এবং মাঝে মধ্যে দেশে আসেন এই সব ব্যক্তিগন ইচ্ছা করলে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র বৈদেশিক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে বিভিন্ন অবদান রাখতে পারেন।

ধারা-৬ : উপধারা- খ :- অনুচ্ছেদ -৬. আজীবন সদস্য:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সাধারণ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ এককালীন ২০,০০০.০০ (বিশ) হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে সংগঠণের আজীবন সদস্য পদ লাভ করতে পারবেন। আজীবন সদস্যদের বেলায় মাসিক চাঁদার কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে কোন অনুষ্ঠান বা পূনর্মিলণী হলে তার জন্য নির্ধারিত নিবন্ধন ফি অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।

ধারা-৬ : উপধারা- গ :- সদস্য হওয়ার নিয়মাবলী: এই গঠনতন্ত্রের ধারা-৬ এর উপধারা-ক এ বর্ণিত যোগ্যতা সম্পন্ন আগ্রহী “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ” এর প্রাক্তণ ছাত্র তার নিজের নাম, জন্ম তারিখ, পিতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, স্কুল থেকে এসএসসি পাশের সাল অথবা কোন শ্রেণীতে কোন সালে অধ্যয়নরত ছিলেন, বর্তমান পেশা ইত্যাদি উল্লেখ পূর্বক সংগঠনের নির্দিষ্ট ফর্ম পুরণ করে একজন বৈধ প্রাক্তণীর সুপারিশ গ্রহন করে সাধারণ সম্পাদক বরাবর জমা দেবেন। অতঃপর কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে সদস্য প্রদান করা হবে। সদস্যপদ পাওয়ার পর ১০০.০০ (একশত) টাকা ভর্তি ফি জমা দিতে হবে।

ধারা-৬ : উপধারা- ঘ :- সদস্যদের দায়িত্ব, কর্তব্য, অধিকার ও সুবিধাসমুহ:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী” এর সকল সদস্যদের মূলনীতির প্রতি আস্থাবান থেকে সংগঠনের নির্ধারিত কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব। সুন্দর সহাবস্থান, আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত এবং নতুন নতুন চিন্তাধারা সংযোজন করে এই সংগঠণকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সদস্যদের আস্থাস্থলে পরিণত করার দায়িত্ব সকল সদস্যের। এছাড়া সংগঠণের কার্যকরী পরিষদের আদেশ উপদেশ এবং নির্ধারিত নিয়ম-পদ্ধতি মেনে চলা প্রতিটি সদস্যের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য।

 সংগঠণের সকল সদস্যগণ “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র বার্ষিক কার্যবিবরণীর প্রতিবেদন, সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন, আর্থিক প্রতিবেদন, স্যুভেনির, সংকলণ, বুলেটিন, আমন্ত্রণপত্র, সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত বিশেষ নোটিশ ইত্যাদী বিনা মূল্যে পাবেন। সংগঠনের অন্যান্য প্রকাশনা বিনামূল্যে অথবা হ্রাসকৃতমূল্যে সরবরাহ করা হবে। সংগঠনের নিজস্ব পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পর তা ব্যবহার করতে পারবেন সদস্যরা। তবে সকল নিবন্ধীত সদস্য ভোটার এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদান, মতামত প্রদান ও নির্বাচনে অংশ গ্রহন এবং ভোট প্রদান করতে পারবেন।

ধারা-৭ : উপধারা- ক :- সদস্যপদ বাতিলকরণ বিসিমুহ:- সদস্যপদ বাতিল হবে যদি-

ধারা-৭ : উপধারা- ক :- অনুচ্ছেদ ১. সদস্যপদ প্রাপ্তির পর ৩মাস কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত চাঁদা প্রদান নাকরেন।

ধারা-৭ : উপধারা- ক :- অনুচ্ছেদ ২. কোন সদস্য পরপর তিনটি সাধারণ সভায় উপস্থিত না থাকেন। 

ধারা-৭ : উপধারা- ক :- অনুচ্ছেদ ৩. কোন সদস্য সংগঠনের উদ্দেশ্য সমুহ বাস্তবায়ন করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি,               

নিয়মাবলি পালনে ব্যর্থ ও সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ সমুহের যে কোন একটি করেন। 

ধারা-৭ : উপধারা- ক :- অনুচ্ছেদ ৪. কোন সদস্য মৃত্যুবরণ করেন, মানসিক ভারসাম্য হারান, ফৌজদারি আইনে আদালত কর্তৃক অপরাধ প্রমান অথবা কারাদন্ড প্রাপ্ত হন।

ধারা-৭ : উপধারা- ক :- অনুচ্ছেদ ৫. যদি কোন সদস্য এই সংগঠনে চাকুরী গ্রহণ করে বেতন-ভাতা বা আর্থিক সুবিধা বা সম্মানীগ্রহন করেন।

ধারা-৭ : উপধারা- ক :- অনুচ্ছেদ ৬. কোন সদস্য কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেন।

তবে পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেনো এতদসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি কার্যকরী  পরিষদের সভায় আলোচনায় ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সমর্থনে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত    হবে তাই কার্যকর হবে।


ধারা-৭ : উপধারা- খ :- সদস্যপদ সাময়িক স্থগিতকরণ:- গঠনতন্ত্রের ধারা-৭ এর-ক উপ-ধারায় বর্ণিত বিভিন্ন অনুচ্ছেদে উল্লেখিত কোন কারণ ঘটলে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে “কেন তার সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে না” এই মর্মে কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করা হবে। উক্ত সদস্য নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হলে কিংবা অভিযুক্ত সদস্যের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কার্যকরী পরিষদ পরবর্তী সভায় ২/৩ (দুই-তৃতীয়াংশ)’র সমর্থনে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারবে। সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে সভাপতির স্বাক্ষরযুক্ত চিঠি মারফত সংশ্লিষ্ট সদস্যকে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিতকরণের খবর জানাতে হবে। উপরে বর্ণিত কারণ দর্শাও নোটিশ সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরযুক্ত হবে।


ধারা-৭ : উপধারা- গ :- সদস্যপদ বাতিলকরণ:- সাময়িকভাবে স্থগিতকৃত সদস্যের অভিযোগ পরবর্তীতে গুরুতর প্রতীয়মান হলে অথবা সংশ্লিষ্ট সদস্য সংশোধিত না হলে কার্যকরী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তার সদস্যপদ বাতিল করা যাবে। যদি কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হয় তবে তিনি পরবর্তী ৩ (তিন) বছর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুণরায় এই সংগঠনের সদস্যপদ লাভ কবতে পারবেন না। 


ধারা-৭ : উপধারা- ঘ :- বাতিলকৃত সদস্যপদ পুনর্বহাল:- বাতিলকৃত সদস্য নির্দিষ্ট সময়ান্তে বা ক্ষমা প্রার্থনা করে পুণরায় সদস্যপদের জন্য আবেদন করলে কার্যকরী পরিষদ পরবর্তী সভায় বিষয়টি আলোচনা করবে এবং সহানুভুতিশীল দৃষ্টিতে বিবেচনা করবে। প্রয়োজন মনে করলে কোন শর্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট সদস্যের পদ পুণর্বহাল করবে। এক্ষেত্রে সদস্যপদ বাতিলের পূর্বাপর বকেয়াসহ চলতি মাসের চাঁদা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। তবে সম্পুর্ণ বিষয়টি কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।


ধারা- ৮ : সাংগঠনিক কাঠামো:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র তিনটি ব্যবস্থাপনা পরিষদ থাকবে। পরিষদগুলি হবে নি¤œরুপ:-

১. সাধারণ পরিষদ ২. কার্যকরী পরিষদ এবং ৩. উপদেষ্টা পরিষদ।


ধারা-৮ : উপধারা- ১. সাধারণ পরিষদ:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সকল নিবন্ধীত সদস্য সাধারণ পরিষদের সদস্য হিসাবে পরিগণিত হবে। সংগঠনের সকল ক্ষমতার উৎস এই সাধারণ পরিষদ। নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদ গঠন, বাজেট অনুমোদন ও কর্মসুচী অনুমোদন করা এই পরিষদের কাজ। সাধারণ পরিষদের সভায় কার্যকরী পরিষদের সভাপতি সভাপতিত্ব করবেন এবং কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সভা পরিচালনা করবেন। সাধারণ পরিষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটেই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হবে।


ধারা-৮ : উপধারা- ২. কার্যকরী পরিষদ:- মোট ৫১ (একান্ন) জন সদস্য সমন্বয়ে কার্যকরী পরিষদ গঠিত হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ পরিষদের সদস্যদের ভোটে কার্যকরী পরিষদ গঠিত হবে। প্রত্যেকটি পদের জন্য সাধারণ সদস্যগণ একটি করে ভোট প্রদান করতে পারবেন।

কার্যকরী পরিষদের কাঠামো:-

০১. সভাপতি - - ১ (এক)  জন

০২. সহসভাপতি - - ৩ (তিন) জন

০৩. সাধারণ সম্পাদক - - ১ (এক)  জন

০৪. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক - - ২ (দুই) জন

০৫. সাংগঠনিক সম্পাদক - - ১ (এক) জন

০৬. সহ সাংগঠনিক সম্পাদক - - ২ (দুই) জন

০৭. অর্থ সম্পাদক - - ১ (এক) জন

০৮. সহ অর্থ সম্পাদক - - ১ (এক) জন

০৯.দফতর সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১০. সহ দফতর সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১১. ক্রীড়া সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১২. সহ ক্রীড়া সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১৩. সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১৪. সহ সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১৫. প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১৬.  সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১৭. আইন বিষয়ক সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১৮. সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক - - ১ (এক) জন

১৯. সমাজ কল্যান সম্পাদক - - ১ (এক) জন

২০. সহ সমাজ কল্যান সম্পাদক - - ১ (এক) জন

২১. শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক - - ১ (এক) জন

২২. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক - - ১ (এক) জন

২৩. সহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক - - ১ (এক) জন

২৪.  আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক - - ১ (এক) জন

২৫.  কার্য নির্বাহী সদস্য - -২৩(তেইশ) জন

কার্যকরী পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ হবে ৩ (তিন) বছর। প্রতি ৩ (তিন) বছর অন্তর সংগঠনের সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদ পুনর্গঠণ করা হবে। তবে সর্বসম্মতি ক্রমে কোন প্রস্তাবিত কমিটি সাধারণ পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাশ হলে সেই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের প্রয়োজনিয়তা থাকবে না। তারপরও কোন একটি বা দুইটি বা ততোধিক পদে কেউ প্রতিদ›িদ্বতা করতে চাইলে তখন ঐ কয়টি পদে নির্বাচন হবে।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য:- নির্বাচিত একটি কার্যকরী পরিষদই হবে “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সকল নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। ক্ষমতাবলে এই পরিষদ প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচী প্রণয়ন, কর্মপরিকল্পনা গ্রহন, কার্যাবলী পরিচালনা ও বাস্তবায়ন, নির্বাচনী বিধিমালা প্রস্তুতকরণ, বাজেট প্রণয়ন, অগ্রগতি পর্যালোচনা ও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়নের দায়িত্বপালন করবে। কার্যকরী পরিষদ নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবে। কার্যকরী পরিষদ যে কোন পরিস্থিতিতে সংগঠণের গঠনতন্ত্রকে সমুন্নত রাখবে। এটা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য।



ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১. সভাপতি:- সভাপতি “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র গঠনতান্ত্রিক প্রধান। তিনি সংগঠণের যাবতীয় সভা-সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন। বিভিন্ন দপ্তরের কার্যবিধি সম্পর্কে পরামর্শ দান করবেন। সভাপতির স্বাক্ষর ব্যতিত কোন প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য ও বিবেচিত হবে না। অর্থ সংক্রান্ত যাবতীয় আয়-ব্যয়, বিল-ভাউচার সভাপতি অনুমোদন করবেন। সভাপতি বাৎসরিক বাজেট কার্যকরী পরিষদের সুপারিশক্রমে অনুমোদন করবেন। সভাপতির অনুমোদন ছাড়া সংগঠনের কোন বিল ভাউচার ও বাজেট ইত্যাদি পাশ হবে না। তিনি সংবিধানের ধারাসমুহের ব্যাখ্যা প্রদান করবেন। প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল রাখতে এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন। সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে সংগঠনের কার্যাদি সম্পাদন করবেন।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-২. সহ-সভাপতি:- সভাপতির অনুপস্থিতিতে ক্রমানুযায়ী সহ-সভাপতিগণ সভাপতির পদমর্যদা ভোগ করবেন এবং সভাপতির অনুরুপ ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। সহ-সভাপতিগণ সর্বদা সভাপতিকে সহায়তা দান করবেন।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-৩. সাধারণ সম্পাদক:- সাধারণ সম্পাদক “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র অফিস সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন, সকল প্রকার যোগাযোগ রক্ষা করবেন, সংগঠনের কার্যক্রম, কর্মসুচী ও উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে কার্যকরী পরিষদের সম্পাদকমন্ডলী ও সাধারণ সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন। সংগঠণের সকল প্রকার ভাউচার, লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং ব্যায় সংক্রান্ত বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিজে চুড়ান্ত স্বাক্ষর সম্পন্ন করে অনুমোদনের জন্য সভাপতির নিকট প্রেরণ করবেন।

 প্রশাসনিক কার্যক্রম, বাজেট তৈরী, কার্যক্রম বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন করবেন। বিভাগীয় সম্পাদকদের কাজে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবেন এবং সর্ববিষয়ে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবেন। সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করানোর ব্যবস্থা করবেন। অর্থ সম্পাদক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মাসিক, ত্রৈয়মাসিক, বার্ষিক জমা-খরচের হিসাব যথাযথ সভায় অনুমোদনের ব্যবস্থা করবেন। তিনি কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রণীত যেকোন দায়িত্ব পালন করবেন। সাংগঠনিক কর্তব্য পালনে সচেষ্ট হবেন। সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি আলোচনা করে, সাধারণ সম্পাদক যেকোনো সভা আহŸান করতে পারেন।  

ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-৪. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক:- সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে কার্যকরী পরিষদের পক্ষে সভাপতির অনুমোদনক্রমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন। সর্বদা সাধারণ সম্পাদকের কাজে সহায়ক ভুমিকা রাখবেন।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-৫. সাংগঠনিক সম্পাদক:- সাংগঠনিক অবস্থান জোরদার করা, সংগঠণকে দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করানো, বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমুলক কাজ-কর্মে সদস্যগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, পারস্পরিক শৃংখলা ও সম্প্রীতির বন্ধন তৈরীকরণ ও অক্ষুন্ন রাখতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করাই হবে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-৬. সহ সাংগঠনিক সম্পাদক:- সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভাপতির অনুমোদনক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা। সর্বদা সাংগঠনিক সম্পাদককে সহায়তা প্রদান করা।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-৭. অর্থ সম্পাদক:- সংগঠনের হিসাব-নিকাশের বিবরণ যথাযথভাবে পরিচালনা করা অর্থ সম্পাদকের মূল দায়িত্ব। তিনি প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকে সংগঠনের হিসাবে জমা করবেন। অর্থ সম্পাদক সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাব-পত্র ও অন্যান্য আর্থিক ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করবেন এবং বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতিবেদন আকারে প্রস্তুত করবেন। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে আয়-ব্যয় নির্বাহ করবেন।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-৮. সহ অর্থ সম্পাদক:- অর্থ সম্পাদক এর অনুপস্থিতিতে অর্থ সম্পাদক এর দায়িত্ব সভাপতির অনুমোদনক্রমে পালন করা। সর্বদা অর্থ সম্পাদককে সহায়তা করা।

ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-৯. দফতর সম্পাদক:- দফতর সম্পাদকের কাজ হবে সংগঠনের দফতর দেখাশোনা করা, সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমের গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনয়ন করা এবং সকল দিক সুবিন্যস্ত, পরিচ্ছন্ন ও মনোরম রাখার ব্যবস্থাকরা এবং সংগঠনের অফিসিয়াল রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ করা।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১০. সহ দফতর সম্পাদক:- দফতর সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভাপতির অনুমোদনক্রমে দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা। সর্বদা দফতর সম্পাদককে সহায়তা দান করা।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১১. ক্রীড়া সম্পাদক:- বিভিন্ন পালা-পার্বনে, বিশেষ জাতীয় দিবসে, সংগঠনের পুনর্মিলণী অনুষ্ঠানে বা স্বউদ্যোগে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন খেলাধুলার আযোজন করাই ক্রীড়া সম্পাদকের কাজ।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১২. সহ ক্রীড়া সম্পাদক:- ক্রীড়া সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভাপতির অনুমোদনক্রমে ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা। সর্বদা ক্রীড়া সম্পদককে সহায়তা দান করা।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১৩. সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক:- সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় সদস্যদের উৎসাহিত করা, কবিতা বা গল্প লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং বাৎসরিক বা কোন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে স্বরণীকা অথবা সংকলন প্রকাশ করা সাহিত্য সম্পাদকের কাজ।


ধারা- ৯. উপধারা- ক: অনুচ্ছেদ-১৪. সহ সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক:- সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভাপতির অনুমোদন ক্রমে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা। সর্বদা সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদককে সহায়তা প্রদান করা।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১৫. প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক:- সংগঠনের ত্রৈয়মাসিক, ষান্মাসিক বা বাৎসরিক কার্যক্রমকে তুলে ধরে প্রতিবেদন আকারে বুলেটিন প্রকাশ করা এবং সংগঠনের অনুষ্ঠিতব্য যেকোনো অনুষ্ঠানের প্রচার ও প্রয়োজনীয় প্রকাশনা মূদ্রণের ব্যবস্থা করা যাতে করে অনুষ্ঠান সাফল্যমন্ডিত হয়।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১৬. সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক:- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভাপতির অনুমোদন ক্রমে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা। সর্বদা প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদককে সহায়তা প্রদান করা।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১৭. সমাজ কল্যাণ সম্পাদক:- সমাজ কল্যান সম্পাদকের দায়িত্ব হবে সংগঠনের সকল সদস্যদের সেবার উদ্দেশ্যে উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরী করার কাজে সুষ্ঠু চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ঘটানো, সেবার পরিধি বিস্তৃতকরণ এবং বিভিন্ন কল্যানমুখী কাজে সংগঠনকে অন্তর্ভুক্ত করা। 

 

ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১৮. সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক:- সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভাপতির অনুমোদন ক্রমে সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা। সর্বদা সমাজ কল্যাণ সম্পাদককে তার কাজে সহায়তা করা। 


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-১৯. আইন বিষয়ক সম্পাদক:- সংগঠণের কার্যক্রমের আওতাভুক্ত সর্ববিধ আইনগত বিষয়াদিসহ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মকান্ড পরিচালনা আইন অনুযায়ী দেখাশোনা করবেন। সংগঠনের কোন সদস্য আইনের আশ্রয় লাভে বঞ্চিত হলে তাকে আইনি সহযোগিতা, পরামর্শ এবং ব্যবস্থা গ্রহনে সচেষ্ট থাকবেন।

ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-২০. সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক:- আইন বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভাপতির অনুমোদন ক্রমে আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা। সর্বদা আইন বিষয়ক সম্পাদককে তার কাজে সহায়তা করা।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-২১. শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক:- শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা সেল এর প্রধান হবেন। শিক্ষা প্রদানের পদ্ধতি বিষয়ক গবেষণা লব্ধ ফল নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সদস্যদের প্রিয় বিদ্যাপীঠ এ আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োগ করা।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-২২. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক:- মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সকল সদস্যকে উদ্বুদ্ধকরন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া। মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সম্মান প্রদানে কার্যক্রম গ্রহন করা। মাঝে মধ্যে সদস্যদের প্রিয় বিদ্যাপঠের বর্তমান অধ্যয়নরত ছাত্রদের মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং কেনো মুক্তিযুদ্ধ হলো তার ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা গল্প আকারে জানানোর ব্যবস্থা করা। একই পদ্ধতিতে বর্তমান সদস্যদেরকেও জানানো। কারণ অনেক প্রাক্তণীই মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-২৩. সহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক:- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভাপতির অনুমোদনক্রমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা। সর্বদা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদককে সহায়তা করা।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-২৪. আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র অনেকেই বিদেশে অবস্থান করেন। তাদেরকে সমন্বয় করাই আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের প্রধান কাজ। সভাপতির অনুমোদনক্রমে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বিদেশেও একাধিক দেশে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের প্রতিনিধি হিসাবে সমন্বয়ক নিয়োগ করতে পারবেন যারা স্ব স্ব অবস্থানে থেকে প্রাক্তণীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও সমন্বয় করবেন।


ধারা- ৯. উপধারা- ক : অনুচ্ছেদ-২৫. নির্বাহী পরিষদের কার্যকরী সদস্য:- কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন। কার্যকরী পরিষদের কোন সম্পাদকের পদ শুন্য হলে এবং অনিবার্য কারণ দেখা দিলে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে যে কোন একজন সদস্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে ঐ শুণ্য পদে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে উক্ত শুণ্য পদের নিয়োগ চুড়ান্ত করতে হবে। এ ব্যাপারে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।


ধারা- ১০- উপদেষ্টা পরিষদ:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র প্রবীণ সদস্য যারা জ্ঞানী, গুনী, বিদ্বান, উচ্চ শিক্ষিত, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সমাজের বিশেষ জনদের মধ্য থেকে ২১ (একুশ) জনকে নিয়ে, সবচেয়ে সক্রিয় সদস্যকে প্রধান করে, কার্যকরী পরিষদ একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ সুচিন্তিত মতামত দিয়ে সংগঠণকে সমৃদ্ধ করবেন। কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উপদেষ্টা পরিষদের সভা আহŸান করবেন এবং সভা পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কার্যকরী পরিষদের সভাপতিকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদ হবে কার্যকরী পরিষদের মেয়াদকালের সমান।


ধারা- ১১. উপধারা- ক:- বিভিন্ন পরিষদের নির্বাচন ও নির্বাচন পদ্ধতি:-


ধারা- ১১. উপধারা- ক:- অনুচ্ছেদ- ১. নির্বাচনী কমিটি:- নির্বাচনের লক্ষ্যে নিবন্ধীকরন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংগঠনের সদস্য বা ভোটার নহে এমন যেকোন একজন যোগ্য ব্যাক্তিকে আহŸায়ক করে এবং অনুরুপ আরো ২ (দুই) জনকে সদস্য করে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনী আহŸায়ক কমিটি বা নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এই কমিটি নির্বাচনী কমিটি বা নির্বাচন কমিশন হিসাবে অভিহিত হবে। কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হবার ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন আগে নির্বাচনী কমিটি গঠিত হবে। কার্যকরী পরিষদ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

ধারা- ১১. উপধারা- ক:- অনুচ্ছেদ- ২. নির্বচনী বিধিমালা:- কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনী বিধিমালা প্রনোয়ন করে নির্বাচনী কমিটি তথা নির্বাচন কমিশন এর নিকট হস্তান্তর করবে। নির্বাচন কমিশন বিধিমালা মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করবেন।


ধারা- ১১. উপধারা- ক:- অনুচ্ছেদ- ৩. নির্বাচন কমিশনের করণীয়:- নির্বাচন কমিশন ‘নির্বাচনী বিধিমালা’ অনুযায়ী নির্বাচনী তফশিল ঘোষনাসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া সমপন্ন করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ থেকে কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং ২১ (একুশ) দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করবে। সাধারণ পরিষদ সদস্যগণ ভোটার হিসাবে পরিগণিত হবেন। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ও যাবতীয় কার্যক্রম তত্বাবধান করবেন।


ধারা- ১১. উপধারা- ক:- অনুচ্ছেদ- ৪. প্রতিদ্ব›দ্বীকারী:- প্রতিদ্ব›দ্বীতাকারী প্রার্থীগণকে অবশ্যই সাধারণ পরিষদ সদস্য এবং ভোটার হতে হবে। ভোটারগণ প্রত্যক্ষভাবে ভোট প্রদান করবেন। একজন ভোটার এক ভোটের অধিকারী হবেন তবে সকল পদে ভোট দিতে বাধ্য থাকবেন এর ব্যত্যয় ঘটলে তার প্রদানকৃত সমস্ত ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 


ধারা- ১১. উপধারা- ক:- অনুচ্ছেদ- ৫. ভোটার হবার যোগ্যতা:- যদি কোন সদস্য সংগঠনের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন, মাসিক চাঁদা সম্পুর্ণ পরিশোধ না করেন তবে তিনি ভোটার হতে পারবেন না এবং নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করতে পারবেন না।


ধারা- ১১. উপধারা- ক:- অনুচ্ছেদ- ৬. নির্বচনী ব্যায়:- নির্বাচন কমিশন কার্যকরী পরিষদের নিকট থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ গ্রহন করবে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় হিসাব নিকাশ নতুন নির্বাচিত কমিটি বরাবর দাখিল করবেন।


ধারা- ১১. উপধারা- খ:- অনুচ্ছেদ- ১. সাধারণ পরিষদ:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সকল নিবন্ধীত সদস্য সাধারণ পরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হবেন তবে মাসিক চাঁদা হালনাগাদ পরিশোধিত না থাকলে সে ভোটার হতে পারবেন না। 


ধারা- ১১. উপধারা- খ:- অনুচ্ছেদ- ২. কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন:- প্রতি ২ (দুই) বছর অন্তর সাধারণ পরিষদের প্রত্যক্ষ ভোটে কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন হবে। তবে সর্বসম্মতি ক্রমে কোন প্রস্তাবিত কমিটি সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভায় অথবা বিশেষ সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাশ হলে সেই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের প্রয়োজনিয়তা থাকবে না। তারপরও কোন একটি বা দুইটি বা ততোধিক পদে কেউ প্রতিদ›িদ্বতা করতে চাইলে তখন ঐ কয়টি পদে নির্বাচন হবে। তবে সকল ক্ষেত্রে নির্ধারীত নমিনেশন পেপার সাবমিশন ফি অবশ্যই পরিশোধযোগ্য এর ব্যত্যয় ঘটলে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচীত কার্যকরী পরিষদের যেকোন পদ, সভাপতি পদ, সম্পাদক পদ ও কার্যকরী সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে। সেই ক্ষেত্রে কার্যকরী পরিষদের সভায় আলোচনার মাধ্যমে ঐ শুণ্য সদস্য পদে নতুন যোগ্য সদস্য দ্বারা পূরণ করা যাবে।


ধারা- ১১. উপধারা- খ:- অনুচ্ছেদ- ৩. উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচন:- ২১ (একুশ) সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে। “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র প্রবীণ সদস্য যারা জ্ঞানী, গুনী, বিদ্বান, উচ্চ শিক্ষিত, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সমাজের বিশেষ জনদের মধ্য থেকে ২১ (একুশ) জনকে নিয়ে, সবচেয়ে সক্রিয় সদস্যকে প্রধান করে, কার্যকরী পরিষদ একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবে।


ধারা- ১২. কর্মকর্তা-কর্মচারী বিধি:- কার্যকরী পরিষদ প্রয়োজনেবোধে সংগঠনের দপ্তরে কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগদান করবে। এব্যাপারে কার্যকরী পরিষদ প্রণীত একটি বিধিমালা থাকবে। এই বিধিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারী পরিচালিত হবে।


ধারা- ১৩. বিভিন্ন সভা আহŸানের নিয়মাবলী: “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র বিভিন্ন সভা সমুহ ধরন অনুযায়ী এই ধারার সংশ্লিষ্ট উপধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।


ধারা- ১৩. উপধারা ক. সাধারণ সভা:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সাধারণ পরিষদের সভাকে ‘সাধারণ সভা’ নামে অভিহিত করা হবে। বছরে একবার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। কমপক্ষে ১৫ দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহŸান করা যাবে। আর্থিক বছর শেষে অথবা কমিটির বছরপুর্তিতে বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করা হয়। কমপক্ষে ১/২ (এক-দ্বিতীয়াংশ) সাধারণ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পুর্ণ হবে। তবে সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে সভায় উপস্থাপিত প্রস্তাব পাশ হবে। বার্ষিক সাধারণ সভায় আয়-ব্যয় সংক্রান্ত আর্থিক প্রতিবেদন, বাজেট উপস্থাপন, সংগঠণের পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপিত হবে। সাধারণ সদস্য এই সব প্রস্তাবের উপর মতামত দেবেন ও আলোচনা করবেন। পরিশেষে প্রয়োজনবোধে সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ সদস্যগণ প্রস্তাব পাশ করবেন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এবং সভা পরিচালনা করবেন কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।


ধারা- ১৩. উপধারা খ. বিশেষ সাধারণ সভা:- বিশেষ পরিস্থিতীর উদ্ভব হলে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। কমপক্ষে ১৫ দিনের নোটিশে বিশেষ সাধারণ সভা আহŸান করা যাবে। কমপক্ষে ১/২ (এক-দ্বিতীয়াংশ) সাধারণ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পুর্ণ হবে। এই সভায় বিশেষ বিষয় ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। বিশেষ বিষয় অবশ্যই নোটিশে আলোচ্যসুচী হিসাবে উল্লেখ করতে হবে। আলোচ্যসুচীর বাইরে কোন বিষয় বিশেষ সাধারণ সভায় আলোচনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে না। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এবং সভা পরিচালনা করবেন কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। 


ধারা- ১৩. উপধারা গ. জরুরী সভা:- সংগঠণের জরুরী প্রয়োজনে জরুরী সভা হবে। কার্যকরী পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদ উভয়েরই জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। কার্যকরী পরিষদের জরুরী সভা কমপক্ষে ৩ দিনের নোটিশে এবং সাধারণ পরিষদের জরুরী সভা কমপক্ষে ৭ দিনের নোটিশে আহŸান করতে হবে। কার্যকরী পরিষদের অতি জরুরী সভা কমপক্ষে ২৪ ঘন্টার নোটিশে এবং সাধারণ পরিষদের অতি জরুরী সভা কমপক্ষে ৩ দিনের নোটিশে আহŸান করা হবে। জরুরী সভা এবং অতি জরুরী সভা উভয় ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ১/২ (এক-দ্বিতীয়াংশ) সাধারণ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পুর্ণ হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এবং সভা পরিচালনা করবেন কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। 


ধারা- ১৩. উপধারা ঘ. কার্যকরী পরিষদের সভা:- সাধারণ সম্পাদক এসএমএস এর মাধ্যমে প্রয়োজন হলে মোবাইল ফোনে ফোন করে সভা আহŸান করবেন। কমপক্ষে ৭ দিনের নোটিশে সভা আহŸান করা হবে। কমপক্ষে ১/২ (এক-দ্বিতীয়াংশ) কার্যকরী পরিষদের সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পুর্ণ হবে। তবে সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে সভায় উপস্থাপিত প্রস্তাব পাশ হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এবং সভা পরিচালনা করবেন কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। 


ধারা- ১৩. উপধারা ঙ. তলবী সভা:- যদি সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিষ্ঠানের কোন সভা আহŸানে ব্যর্থ হলে তখন ১/৩ (এক- তৃতীয়াংশ) কার্যকরী পরিষদের সদস্যের যৌথ স্বাক্ষরে লিখিতভাবে সুনির্দিষ্ট বিষয় উল্লেখ করে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে সভা আহŸানের আবেদন জানাবেন। উক্ত অনুরোধের পরও যদি সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে সভা আহŸানে ব্যর্থ হন, গড়িমসি করেন বা সভা আহŸানের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন বা নিয়মবহির্ভুত ভুমিকার আশ্রয় নেন তখন আবেদনকারীগণ ২২ (বাইশ) দিন পর নিজেরাই সভা আহŸান করতে পারবেন। কমপক্ষে ১/২ (এক-দ্বিতীয়াংশ) কার্যকরী পরিষদের সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পুর্ণ হবে। এই সভা তলবী সভা হিসাবে অভিহিত হবে।


ধারা- ১৩. উপধারা চ. মূলতবী সভা:- কোন কারণে সভা মূলতবী বা স্থগিত হয়ে গেলে পরবর্তী ১ সপ্তাহের মধ্যে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং পূর্ব-নির্ধারিত বিষয়ে আলোচনা এবং অমিমাংশিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এই সভা মূলতবী সভা নামে অভিহিত হবে। কমপক্ষে ১/২ (এক-দ্বিতীয়াংশ) কার্যকরী পরিষদের সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পুর্ণ হবে।


ধারা- ১৩. উপধারা ছ. সভা সম্পর্কিত বিবিধ বিষয়:- “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র যেকোন সভা আহŸান করবেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। সভার বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্যই আলোচ্যসূচী, সভার স্থান, সময় ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে। কার্যকরী পরিষদের সভা দুইবার কোরামের অভাবে স্থগিত হয়ে গেলে তৃতীয়বার উপস্থিত যে কোন সংখ্যক সদস্যদের নিয়ে সভা করা যাবে এবং সর্বাগ্রে সাধারণ পরিষদ সদস্যদের মধ্য থেকে যোগ্য সদস্য বাছাই করে কার্যকরী পরিষদের শূণ্যপদে অস্থায়ীভাবে কোঅপ্ট করে পুরণ করতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভার ক্ষেত্রে কোরাম পুর্ণ না হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে পুণরায় যথারীতি সাধারণ সভা আহŸান করতে হবে এবং উপস্থিত সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গৃহীত সিদ্ধান্ত সমুহ বৈধ বিবেচিত হবে। সংগঠণের কোন উপদেষ্টা, পৃষ্ঠপোষক, বিশেষজ্ঞ, বরেণ্য ব্যক্তি, দেশী-বিদেশী কোন বিশেষ অতিথি, সংগঠণের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে সংগঠনের যে কোন সভায় পর্যবেক্ষকের মর্যাদায় উপস্থিত থাকতে পারবেন। তিনি সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে পারবেন তবে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব বিস্তার কিংবা পক্ষ সমর্থন করতে পারবেন না।


ধারা- ১৩. উপধারা জ. অনাস্থা প্রকাশ:- কার্যকরী পরিষদের সভায় ৪/৫ (চার-পঞ্চমাংশ)’র সমর্থনে সংগঠনের যে কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌক্তিক কারণে অনাস্থা প্রকাশ করা যাবে। এক্ষেত্রে সংগঠণের সভাপতির নিরপেক্ষতা অক্ষুন্ন রাখতে তিনি ভোটদানে বিরত থাকবেন। সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কারো কোন আপত্তি দেখা দিলে বিষয়টি বিশেষ সাধারণ সভায় আলোচনা পরবর্তীতে উপস্থিত সদস্যদের ২/৩ (দুই-তৃতীয়াংশ) সদস্যের সমর্থনে মিমাংশা করা যাবে।


ধারা-১৪. আর্থিক ব্যবস্থাপনা:- কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে যে কোন সিডিউল ব্যাংকে সংগঠনের নামে একটি চলতি অথবা সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে। হিসাবটি সংগঠণের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থ সম্পাদকের যৌাথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। সংগঠনের নামে সংগৃহীত অর্থ কোন অবস্থাতেই হাতে রাখা যাবে না। অর্থ প্রাপ্তির পর তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা রাখতে হবে। অর্থ সম্পাদক দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য ৫,০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকার বেশী হাতে রাখতে পারবে না। এর বেশী অংকের টাকা খরচ করতে হলে এবং ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে হলে কার্যকরী পরিষদের সভায় পূর্বানুমোদন নিতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভায় সকল খরচের চুড়ান্ত অনুমোদন ও বাজেট পাশ করতে হবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়োগকৃত বা অনুমোদিত যে কোন ‘অডিট ফার্ম’ বা সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োজিত কর্মকর্তা দ্বারা সংগঠনের হিসাব-নিকাশ নিরীক্ষণ করাতে হবে। সংগঠনের নিয়োমিত অডিট রিপোর্ট ও বার্ষিক কার্যবিবরণী মুদ্রিত আকারে নিয়মিতভাবে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করতে হবে।


ধারা-১৫. গঠনতন্ত্র সংশোধনী:- এই গঠনতন্ত্রে বর্ণিত কিংবা উল্লেখিত হয়নি এরূপ কোন বিষয় নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে অথবা কোন ধারা, উপধারা বা অনুচ্ছেদের উপর সংশোধনী আনয়নের ক্ষেত্রে কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক খসড়া আকারে গৃহীত ধারা, উপধারা বা অনুচ্ছেদের উপর প্রস্তাবালী প্রথমে সংগঠনের সাধারণ সভায় পেশ করতে হবে এবং যথা নিয়মে সাধারণ সভায় উপস্থিত ২/৩ (দুই-তৃতীয়াংশ) সদস্যের সমর্থন থাকতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হলে পরিষদের সভাপতি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত ও কর্তব্য নির্ধারণ করবেন। তবে এই গঠনতন্ত্রের যে পরিবর্তনই করা হোক না কেন তা চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হলেই কেবল উক্ত সংশোধনী কার্যকর করা যাবে।


ধারা-১৬. বাধ্যবাধকতা:- এই গঠনতন্ত্রে যা কিছু উল্লেখ থাকুক না কেন “চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ প্রাক্তণী”র সকল কার্যাদি ১৯৬১ সালের ৪৬ নং অধ্যাদেশ’র আওতায় এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে কার্যকর হবে।


ধারা-১৭. আয় বর্ধনমূলক কার্যক্রম:- যে কোন আয় বর্ধনমূলক কর্মসুচী/কার্যক্রম গ্রহণের পূর্বে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি নিতে হবে এবং কর্মসুচী শেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী নিবন্ধণ কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে।


ধারা-১৮. সংস্থার বিলুপ্তিকরণ:- যে কারণেই হোক না কেন মোট সদস্যের ৪/৫(চার-পঞ্চমাংশ) সদস্যের সমর্থনে সংগঠনের বিলুপ্ত ঘটানো যাবে এবং যথানিয়মে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা ও অনুমোদন সাপেক্ষে সংগঠনের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এই সংগঠনের অনুরূপ কোন সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা যাবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার এখতিয়ার থাকবে।